Govt Sarada Sundari Mohila College

Susbscribe to get updates
Table of Contents

Overview

is an educational establishment that is located at Jhiltoli Faridpur Faridpur Sadar . Its Educational Institute Identification Number or EIIN, is . The alternative name for is সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, ফরিদপুর. It operates on Day shift(s).

is under Dhaka Education Board. The institute is in the constituency no 3. Average age of the teachers at is 44 years.

Govt Sarada Sundari Mohila College is affiliated with National University. The college code for this institute is 6002. This college offer following Honours and Pass courses under the National University: B. A. (pass) (6001), B. S. S. (pass) (6002), B. B. S. (pass) (6004), Bangla (1001), English (1101), History (1501), Islamic History And Culture (1601), Philosophy (1701), Political Science (1901), Social Work (2101), Economics (2201), Accounting (2501), Management (2601), Political Science (1951), Social Work (2151), Economics (2251).

সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, ফরিদপুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ষাট এর দশকে এদেশে তৎকালীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য জেলায় হাতেগোনা কয়েকটি স্থানে মহিলাদের জন্য পৃথক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ ছিল। ১৯৪৭-এ দেশ বিভক্তির পর তৎকালীন ফরিদপুর জেলাতেও মহিলাদের জন্য পৃথক উচ্চ শিক্ষার বাবস্থা ছিলনা। আবশ্য এমনিতেই সমগ্র জেলাতে মাত্র ছয়টি কলেজ ছিল। এ কারণে রক্ষণশীল অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা প্রদানের ব্যাপারে সাভাবিকভাবে নিরুৎসাহ বোধ করতেন। এমনি পটভূমিতে ষাট এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফারিদপুর শহরের কিছু বিদ্যোৎসাহী বাক্তিবর্গ মহিলাদের জন্য একটি পৃথক কলেজ প্রতিষ্ঠার চিন্তা-ভাবনা করেন। কিন্তু চিন্তা-ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান করা রীতিমত কঠিন কাজ। কারণ এর জন্য প্রয়োজন উৎসাহী লোক, প্রয়োজন অর্থের, প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতার । এদেশে যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এগুলির পিছনে প্রায় সবক্ষেত্রেই অর্থশালী, বিত্তবান বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে ব্রিটিশ আমলে এ দেশের জমিদারদের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এখন এ ধরণের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায় পাওয়া যাবে? এমনি মূহুর্তে ফরিদপুরের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার জনাব এম কে আনোয়ার এগিয়ে এলেন। তিনি ফারিদপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবীদের সাথে কয়েক দফা আলাপ-আলচনার পর একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ডেপুটি কমিশনার এম কে আনোয়ার এরই প্রেক্ষাপটে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামোট এলাকার দানশীল ব্যক্তিত্ব শ্রী চন্দ্রকান্ত নাথ–এর স্মরনাপন্ন হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান। গোয়ালচামোট এলাকার তাঁর অনেকগুলি পাকা দালান ও অন্যান্য বাড়ীঘড় ছিল। ডেপুটি কমিশনার সাহেবের অনুরোধক্রমে শ্রীচন্দ্রকান্ত নাথ ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে অবস্থিত তাঁর এক একর দশ শতাংশ জমির উপর পাঁচটি ছোট বড় দালান ও অন্যান্য ধরণের চারটি ঘর মহিলা কলেজের জন্য দান করতে সম্মত হন। এ বিরল দান শ্রী চন্দ্রকান্ত নাথকে মহিলা শিক্ষা প্রসারের ব্যাপারে ইতিহাসের পাতায় সত্যিই স্থান করে দিয়েছেন। তথ্য পাওয়া যায় যে, শিক্ষার ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদানের জন্য শ্রী চন্দ্রকান্ত নাথের প্রতি তাঁর পরলোকগতা মায়ের একটি নির্দেশ ছিল যা শ্রী চন্দ্রকান্ত বাবু পরে ব্যক্ত করেছিলেন। উল্লেখ্য শ্রী চন্দ্রকান্ত নাথ মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে তাঁর নিজ বাড়ীতে পাকবাহিনীর হাতে নিহত হন। এরপর কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা দ্রুতগতিতে এগোতে থাকে। ডেপুটি কমিশনারকে চেয়ারম্যান করে কলেজ পরিচালনার জন্য ৫২ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৬৬ সালের আগস্ট মাসের ছয় তারিখে শ্রী চন্দ্রকান্ত নাথের স্বর্গীয় জননী সারদা সুন্দরী দেবীর পুণ্যস্মৃতি ধারণ করে জেলার প্রথম মহিলা কলেজ জন্ম নেয় ‘সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ’ নামে। কলেজের প্রারম্ভিককালে শিক্ষক সমস্যা মেটানোর জন্য অর্থ ব্যয় না করে সাহায্যের হাত প্রসারিত করা হয় শহরের একমাত্র কলেজ রাজেন্দ্র কলেজের দিকে। খুব স্বাভাবিকভাবে অধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকজন অধ্যাপক কোনরূপ পারিশ্রমিক ছাড়াই নব প্রতিষ্ঠিত কলেজে ক্লাশ নেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে ঐ সকল মহৎপ্রাণ শিক্ষকদের নাম না উল্লেখ করলে এ লেখা অসম্পূর্ণ থাকবে এবং তাঁদের প্রতি অবিচার করা হবে। বিনা বেতনে খন্ডকালীন অধ্যক্ষ অপূর্বকৃষ্ণ ঘোষ (অর্থনীতি), জনাব কবীরউদ্দীন খান (ইতিহাস), মরহুম মুহাম্মদ আবুল হাসেম (দর্শন), জনাব আবদুল মান্নান চৌধুরী (ইসলামের ইতিহাস) ও জনাব আমজাদ হোসেন (ইংরেজি)। এ সময়ে পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন বাংলা বিভাগে মিসেস শাহেদা খানম চৌধুরী ও খণ্ডকালীন হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মিস মুশতরী বেগম। মিস মুশতারী বেগম পরবর্তীতে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষা হিসেবে ১৯৬৮ সনের ফেব্রুয়ারী থেকে দায়িত্ব পালন করেন। মিস মুশতারী বেগম এ কলেজের প্রায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে কলেজের বহু উত্থান পতনের সঙ্গে নিজেকে স্মৃতি বিজড়িত করেছেন। এ কলেজ তাঁর কাছে ঋণী। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষা বছরে ২৯ জন ছাত্রীসহ একাদশ মানবিকের ক্লাশ শুরু হয়। তখন পঠিত বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীত, পৌরনীতি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও যুক্তিবিদ্যা। এ বছরই কলেজ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি লাভ করে। মহিলা কলেজ চালু হওয়া এবং কলেজ ক্যাম্পাসে হোস্টেল সুবিধা প্রদানের কারণে দূরের ছাত্রীরাও কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশুনার সুযোগ লাভ করে। ডেপুটি কমিশনার জনাব এম. কে আনোয়ার তাঁর রিলিফ ও ঐচ্ছিক তহবিল থেকে কলেজকে এককালীন ৪১ হাজার টাকা প্রদান করেন। অন্যান্য উৎস থেকেও কলেজের জন্য তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া হয়। ১৯৬৬ সালের ১২ ই অক্টোবর নারী শিক্ষা তথা ফরিদপুরের ইতিহাসে এক নবতর সংযোজ হয়। ঐদিন এক সুধী সমাবেশ নূতন ডেপুটি কমিশনার জনাব এম, এস রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজ উদ্বোধন করেন। ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষা বছর হতে প্রশাসনের অনুদান, বাস সিন্ডিকেটের অনুদান, সিনেমা হল থেকে প্রাপ্ত অনুদান এবং অন্যান্য সংস্থা তথা জনগণের আর্থিক সহায়তায় কলেজের ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয়। ১৯৬৮ সনে কলেজের মানবিক বিভাগের ২৬ জন ছাত্রী রাজেন্দ্র কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ৯ জন দ্বিতীয় বিভাগে ও ১২ জন তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষা বছরে প্রথম বর্ষ স্নাতক চালু করা হয়। তখন পঠিত বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও দর্শন। ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষা বছর হতে পর্যায়ক্রমে শিক্ষক নিয়োগ করে ১৯৬৯-৭০ শিক্ষা বছরের মধ্যে কলেজের শিক্ষকের অভাব পূরণ করা হয়। এ সময়ের শিক্ষকবৃন্দ হলেন, বাংলা বিভাগে মিসেস শাহেদা খানম চৌধুরী ও মিসেস ফিরোজা বেগম, ইংরেজি বিভাগে জনাব আজাহার উদ্দীন আল-কাদরী ও জনাব শহীদুজ্জামান খান, অর্থনীতি বিভাগে মিস কল্যাণী কীর্তনিয়া ও জনাব মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মিসেস ফিরোজা বেগম ও মিসেস রাবেয়া খাতুন, ইতিহাস বিভাগে মিসেস রওশন আখতার বেগম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে জনাব মুহম্মদ ফজর আলী ও মিসেস হাবিবা বেগম, দর্শন বিভাগে মিস আবেদা বেগম ও মিসেস রোজিনা বেগম, সমাজকল্যাণ বিভাগে মিস সিতারা বেগম। কলেজের অবস্থান শহরের পশ্চিমে জনবহুল আলাকায় প্রধান সড়ক তথা আন্ত:জেলা সড়কের একেবারে সন্নিকটে হয়ায় শহরের প্রধান এলাকা হতে (তৎকালীন) জরাজীর্ণ সংকীর্ণ আলিমুজ্জামান সেতুর উপর দিয়ে ছাত্রীদের যাতায়াতের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৯৬৯ সনে গোয়ালটামট হতে ঝিলটুলীতে স্থানান্তরিত করেন। ঝিলটুলিতে অবস্থিত (এ্যাডভোকেট নলিনী সেনের বাড়ী হিসাবে পরিচিত) সরকারের অর্পিত সম্পত্তির একটি বাড়ী ভাড়া নেয়া হয়। এগার কক্ষ বিশিষ্ট একটি দোতলা দালান ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি একতলা দালানসহ প্রায় দু’একর পঞ্চাশ শতাংশ জমির উপর অবস্থিত সেই ভাড়া করা অর্পিত সম্পত্তিতেই বর্তমান কলেজের অবস্থান। গোয়ালচামটের শ্রীচন্দ্রকান্ত বাবুর প্রদানকৃত ভবনগুলি কলেজের হোস্টেলরূপে ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৭৩-৭৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ইসলামী শিক্ষা বিষয়টি চালু হয়। উল্লেখ্য যে, কলেজের শুরুতে অত্যন্ত স্বল্প ছাত্রী নিয়ে বাণিজ্য বিভাগ চালু করা হলেও পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন বাণিজ্য বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন প্রফেসর মিঞা লুৎফর রহমান, যিনি পরবর্তীতে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৯৭৪-৭৫ শিক্ষাবর্ষে পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, গণিত ও ভূগোল বিষয়সহ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়। ১৭৯৩ সন হতে কলেজের আর্থিক সংকট প্রকট থেকে প্রকটতর হতে থাকে। ছাত্রী বেতন দিয়ে শিক্ষক বেতনসহ কলেজের ব্যয়ভার অসম্ভব হয়ে উঠে। মাসের পর মাস শিক্ষক বেতন বাকী পড়ে যায়। কলেজটি প্রায় বিলুপ্তির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিদর্শক দল এসে কলেজ পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক অবস্থা বিবেচনাপূর্বক শহরের অন্য প্রান্তে অবস্থিত বেসরকারি কলেজ ইয়াছিন কলেজের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব সরকারের কাছে পেশ করেন। কিন্তু এ প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেয়ার আগেই তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং কলেজ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব শহীদুল আলম হস্তক্ষেপ করেন। তাদের দৃঢ়তাপূর্ণ পত্র যোগাযোগ এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যার কারণে একিভূত করার প্রস্তাব স্থগিত হয়ে যায়। এ দুই কর্মকর্তা স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় ব্যবসায়ী ও স্বচ্ছল লোকদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করে কলেজটিকে অনিবার্য অবলুপ্তির হাত হতে রক্ষা করেন। ১৯৭৫-৭৬ অর্থ বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজটিকে জেলা শহরে অবস্থিত ১৭টি বেসরকারি মহিলা কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পাধীনে অন্তর্ভূক্ত করেন। ১৯৭৫-৭৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ ঝিলটুলীতে একটি দালান ভাড়া করে গোয়ালচামট হতে হোস্টেল স্থানান্তরিত করেন। গোয়ালচামটের কলেজ ও হোস্টেলের বাড়ীগুলি একটি কনসালটিং ফার্মের নিকট ভাড়া দেয়া হয়। ১৯৭৬-৭৭ শিক্ষাবর্ষে কলেজের এই বাড়ীটি নব-প্রতিষ্ঠিত সারদা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য স্থানান্তর করা হয় এবং ঝিলটুলিস্থ বাড়ীটি (বর্তমান ক্যাম্পাস) কলেজের অনুকূলে অধিকগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট টাকা জমা দেয়া হয়। ১৯৭৬ সনের ২৮শে জুন মিসেস ফতেহ আখতার বেগম শূন্যপদে অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদান করেন। মিসেস মুশতারী বেগমের পারিবারিক কারণে ঢাকায় চলে যাওয়াতেই অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। ঐ সময় মিসেস ফতেহ আখতার সিরাজগঞ্জে রশীদা জোহা মহিলা কলেজে অধ্যক্ষের পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে পুনরায় বাণিজ্য বিভাগ চালু করা হয়। কলেজের জন্য একটি চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ১৯৭৭ সালে সরকার কর্তৃক ২২,৫৫,০০.০০টাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন বরাদ্দ করা হয়। প্রেসিডেন্টের মহিলা বিষয়ক সহকারী মিসেস ফিরোজা বারী ০৮-০৬-৭৭ তারিখে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮০ সালের ১লা মার্চ কলেজ সরকারিকরণ করা হয়। নতুন ভবন নির্মিত হওয়ায় ক্লাস ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড স্থানান্তর করা হয় এবং পুরাতন ভবনের ভাড়া বাড়ী হতে কলেজ হোস্টেলও স্থানান্তর করা হয়। ৩১-০৫-৮০ তারিখে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জনাব আবুল হোসেন খান কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য উক্ত প্রকল্পের অধীনে মোট ১৮,০০,০০০.০০ টাকা পাওয়া যায়। জাতীয়করণের পর পুনরায় ৯,৬০,০০০.০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ১৯৯০ সনে কলেজের চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেলের নির্মাণ কাজও একই সময়ে শেষ হয়। সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের এ ধরণের উন্নয়ন কাজের সংযোজনকে মাইলফলক বললে বেশী বলা হবেনা। ১৯৮৭ সালের প্রথম দিকে এখানে অধ্যক্ষ নিয়োজিত হয়ে আসেন প্রফেসর মিঞা লুৎফর রহমান। অবশ্য এর আগে যথাক্রমে প্রফেসর আবুর হোসেন খান, ড: সফিয়া খাতুন (মরহুম), প্রফেসর অপূর্বকৃষ্ণ ঘোষ (প্রয়াত) ও প্রফেসর মাহমুদা খানম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর মিঞা লুৎফার রহমান ২১-০৯-৮৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এখানে অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেছেন। প্রফেসর মিঞা লুৎফার রহমানের সময় সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ উন্নয়নের একটা বিশেষ অবস্থানে পৌছায়। কলেজ হোস্টেলের নির্মাণ কাজ, একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণ এবং কলেজের আরো কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়। কলেজ ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে বাগান ও বৃক্ষরাজি রোপণ করা হয়। কলেজে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে অধ্যক্ষ প্রফেসর মিঞা লুৎফার রহমান কলেজের সুনাম বৃদ্ধিতে অবদান রাখেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৯৪ সনে এই কলেজ দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কলেজের অধ্যক্ষের হাতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির পুরস্কার প্রদান করেন। ১৯৯৪ সনে এই কলেজের স্নাতক শ্রেণীতে বিজ্ঞান, ইংরেজি (সম্মান), সমাজকল্যাণ ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স খোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়। প্রফেসর মো: আফসার উদ্দিন শেখ ১৩-০৪-৯৫ ইং তারিখে অধ্যক্ষ হিসেবে এ কলেজে যোগদানের পর এ ব্যাপারে তৎপর হন। ফলশ্রুতিতে ১৯৯৫-১৯৯৬ শিক্ষাবর্ষ হতে কলেজে ইংরেজি (সম্মান) কোর্স চালু হয়। ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪টি বিষয়ে (দর্শন, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান) অনার্স কোর্স চালু হয় এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। ২০০০ সালে কলেজে ৩ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। ২০০৪ সালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট দ্বিতীয় ৪ তলা ছাত্রী নিবাস নির্মিত হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসিনা বানু গত ১০-০৮-২০১০ইং তারিখে অত্র কলেজে যোগদান করেন এবং কলেজের আশু সমস্যাগুলি সমাধানে তৎপর হন। তার গতিশীল নেতৃত্ব ও তৎপরতায় অত্র কলেজে একটি একাডেমিক ভবন নির্মানের ব্যবস্থা হয়। এ বছর কলেজের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এম.পি ২৬-০২-২০১১ ইঙ তারিখে নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ দিকে। বর্তমানে কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রীবৃন্দ বৃহত্তর ফরিদপুরের নারী শিক্ষা প্রসারে কলেজটির উন্নতি ও অগ্রগতির চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছেন।

Govt Sarada Sundari Mohila College Basic Info

College (HSC) Admission 2023 Criteria
Academic
Year
Version Shift Group Gender Minimum
GPA
Own
GPA
Total
Seats
2023-2024 Bangla Day Business Studies Female 3.00 0.00 300
2023-2024 Bangla Day Humanities Female 3.00 0.00 600
2023-2024 Bangla Day Science Female 4.00 0.00 450

Board Result

HSC Exam Result 2023
Govt Sarada Sundari Mohila College HSC exam result 2023 is published. 1469 students have appeared and 1343 students have passed. Total 156 students have scored A+. Average passing rate in HSC 2023 is 91.42% and A+ rate is 10.62%.
Appeared1469 A+156
Passed1343 Failed126
Pass Rate91.4% A+ Rate10.6%
Board Rank40 National Rank92
Pass Rate
63.37%
A+ Rate
0%
Board Year Appeared Passed Failed A+ Pass Rate A+ Rate National Rank Board Rank Division Rank District Rank
Dhaka 2010 56 40 16 0 71.43% 0.00% 3071 1325 1285 156
Dhaka 2009 45 24 21 0 53.33% 0.00% 3054 1472 1478 188
Print Result
SSC result 2010

SSC result 2010 details: In 2010, 56 students appeared in SSC 2010 from the institute. Among them, 40 students have passed and 0 students have scored GPA 5. The passing rate is 71.43% and A+ rate is 0.00%. 16 students have failed in SSC 2010 and the failure rate is 28.57%.

SSC result 2009

SSC result 2009 details: In 2009, 45 students appeared in SSC 2009 from the institute. Among them, 24 students have passed and 0 students have scored GPA 5. The passing rate is 53.33% and A+ rate is 0.00%. 21 students have failed in SSC 2009 and the failure rate is 46.67%.

Pass Rate
87.80%
A+ Rate
12.52%
Board Year Appeared Passed Failed A+ Pass Rate A+ Rate National Rank Board Rank Division Rank District Rank
DHAKA 2023 1469 1343 126 156 91.42% 10.62% 92 40 42 1
Dhaka 2022 1272 1223 49 456 96.15% 35.85% 81 38 40 1
Dhaka 2021 1286 1264 22 442 98.29% 34.37% 68 34 35 1
Dhaka 2020 1588 1588 0 506 100.00% 31.86% 67 36 36 1
Dhaka 2019 1599 1369 230 51 85.62% 3.19% 111 45 42 1
Dhaka 2018 1403 1062 341 25 75.69% 1.78% 144 59 55 1
Dhaka 2017 1307 1116 191 111 85.39% 8.49% 94 45 42 1
Dhaka 2016 1387 1259 128 144 90.77% 10.38% 58 37 34 1
Dhaka 2015 1137 969 168 73 85.22% 6.42% 115 50 50 1
Dhaka 2014 1280 1205 75 136 94.14% 10.63% 60 41 38 1
Dhaka 2013 1183 1002 181 106 84.70% 8.96% 96 46 45 1
Dhaka 2012 1087 950 137 125 87.40% 11.50% 78 45 42 1
Dhaka 2011 1036 892 144 87 86.10% 8.40% 81 41 39 1
Dhaka 2010 1240 1016 224 0 81.94% 0.00% 44 22 21 1
Dhaka 2009 1043 702 341 0 67.31% 0.00% 147 62 59 2
Print Result
HSC result 2023

HSC result 2023 details: In 2023, 1469 students appeared in HSC 2023 from the institute. Among them, 1343 students have passed and 156 students have scored GPA 5. The passing rate is 91.42% and A+ rate is 10.62%. 126 students have failed in HSC 2023 and the failure rate is 8.58%.

HSC result 2022

HSC result 2022 details: In 2022, 1272 students appeared in HSC 2022 from the institute. Among them, 1223 students have passed and 456 students have scored GPA 5. The passing rate is 96.15% and A+ rate is 35.85%. 49 students have failed in HSC 2022 and the failure rate is 3.85%.

HSC result 2021

HSC result 2021 details: In 2021, 1286 students appeared in HSC 2021 from the institute. Among them, 1264 students have passed and 442 students have scored GPA 5. The passing rate is 98.29% and A+ rate is 34.37%. 22 students have failed in HSC 2021 and the failure rate is 1.71%.

HSC result 2020

HSC result 2020 details: In 2020, 1588 students appeared in HSC 2020 from the institute. Among them, 1588 students have passed and 506 students have scored GPA 5. The passing rate is 100.00% and A+ rate is 31.86%. 0 students have failed in HSC 2020 and the failure rate is 0.00%.

HSC result 2019

HSC result 2019 details: In 2019, 1599 students appeared in HSC 2019 from the institute. Among them, 1369 students have passed and 51 students have scored GPA 5. The passing rate is 85.62% and A+ rate is 3.19%. 230 students have failed in HSC 2019 and the failure rate is 14.38%.

HSC result 2018

HSC result 2018 details: In 2018, 1403 students appeared in HSC 2018 from the institute. Among them, 1062 students have passed and 25 students have scored GPA 5. The passing rate is 75.69% and A+ rate is 1.78%. 341 students have failed in HSC 2018 and the failure rate is 24.31%.

HSC result 2017

HSC result 2017 details: In 2017, 1307 students appeared in HSC 2017 from the institute. Among them, 1116 students have passed and 111 students have scored GPA 5. The passing rate is 85.39% and A+ rate is 8.49%. 191 students have failed in HSC 2017 and the failure rate is 14.61%.

HSC result 2016

HSC result 2016 details: In 2016, 1387 students appeared in HSC 2016 from the institute. Among them, 1259 students have passed and 144 students have scored GPA 5. The passing rate is 90.77% and A+ rate is 10.38%. 128 students have failed in HSC 2016 and the failure rate is 9.23%.

HSC result 2015

HSC result 2015 details: In 2015, 1137 students appeared in HSC 2015 from the institute. Among them, 969 students have passed and 73 students have scored GPA 5. The passing rate is 85.22% and A+ rate is 6.42%. 168 students have failed in HSC 2015 and the failure rate is 14.78%.

HSC result 2014

HSC result 2014 details: In 2014, 1280 students appeared in HSC 2014 from the institute. Among them, 1205 students have passed and 136 students have scored GPA 5. The passing rate is 94.14% and A+ rate is 10.63%. 75 students have failed in HSC 2014 and the failure rate is 5.86%.

HSC result 2013

HSC result 2013 details: In 2013, 1183 students appeared in HSC 2013 from the institute. Among them, 1002 students have passed and 106 students have scored GPA 5. The passing rate is 84.70% and A+ rate is 8.96%. 181 students have failed in HSC 2013 and the failure rate is 15.30%.

HSC result 2012

HSC result 2012 details: In 2012, 1087 students appeared in HSC 2012 from the institute. Among them, 950 students have passed and 125 students have scored GPA 5. The passing rate is 87.40% and A+ rate is 11.50%. 137 students have failed in HSC 2012 and the failure rate is 12.60%.

HSC result 2011

HSC result 2011 details: In 2011, 1036 students appeared in HSC 2011 from the institute. Among them, 892 students have passed and 87 students have scored GPA 5. The passing rate is 86.10% and A+ rate is 8.40%. 144 students have failed in HSC 2011 and the failure rate is 13.90%.

HSC result 2010

HSC result 2010 details: In 2010, 1240 students appeared in HSC 2010 from the institute. Among them, 1016 students have passed and 0 students have scored GPA 5. The passing rate is 81.94% and A+ rate is 0.00%. 224 students have failed in HSC 2010 and the failure rate is 18.06%.

HSC result 2009

HSC result 2009 details: In 2009, 1043 students appeared in HSC 2009 from the institute. Among them, 702 students have passed and 0 students have scored GPA 5. The passing rate is 67.31% and A+ rate is 0.00%. 341 students have failed in HSC 2009 and the failure rate is 32.69%.

Term Result

Notice​

People

No data found.
No data found.

Feedbacks & Ratings

  • Quality of Education
    4.00
  • Environment
    4.00
  • Cost
    4.00
  • Infrastructure
    4.00
  • Office Support
    4.00
  • Quality of Education
    4.00
  • Environment
    4.00
  • Cost
    4.00
  • Infrastructure
    4.00
  • Office Support
    4.00

Message

Contact

Donate Sohopathi

Our team is working hard to improve our education sector.

Your small contribution could make a BIG difference.

Donation Amount

Payment Breakdown

You pay 10.00
Fee 5%
Processing fee: 2%
Service fee: 3%
0.5
Net payment 9.5
Share
Facebook
WhatsApp
LinkedIn
Email

You must log in first to add a result

Result Details

Photo Gallery Details

Share feedback on Govt Sarada Sundari Mohila College






Donate to Govt Sarada Sundari Mohila College

Do you donate blood?

Join Rokto Team!
Learn more about Rokto www.rokto.co